আমাদের কথা

 প্রচ্ছেদ / আমাদের কথা

১৮৮৭ সালের ১ জুলাই টাঙ্গাইল পৌরসভা স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ৫ টি। টাঙ্গাইল কান্দা পাড়া, পারদিঘুলিয়া, আকুর টাকুর নিয়ে ১নং ওয়ার্ড,      করের বেতকা, নন্দির বেতকা, মীরের বেতকা, সাবালিয়া, দরুন,আশেকপুর, নগরপলফৈ     এবং   বেয়ালী     নিয়ে ২নং   ওয়ার্ড, গাড়াই, বেড়াই, কাজিপুর, পটল, বাছরাকান্দি, বাজিতপুর,বেড়াবুচনা, ও ভাল্লুককান্দি নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড, কাগমারী, সন্তোষ, অলোয়া, বৈট্যা, পাতুলী এবং একরামপুর নিয়ে ৪নং ওয়ার্ড এবং কালীপুর, দিঘুলিয়া, সাকরাইল, কাইয়ামারা, বেড়াডোমা, বাসা ও খানপুর নিয়ে ৫নং ওয়ার্ড গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১নং সেন্টাল,২নং বেতকা, ৩নং দিঘুলিয়া ও ৪নং সন্তোষ হিসাবে ৪টি ওয়ার্ড পুনঃগঠিত হয়। ১৯৮৮ খ্রীঃ সেন্ট্রাল, বেতকা, দিঘুলিয়া, সন্তোষ ও জেলা সদর এই ৫ টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে এবং তারপর ৬নং ওয়ার্ড হিসাবে কাজিপুরকে অন্তর্ভূক্ত করে ৬টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করাহয়া। পুনরায় ৬টি থেকে ৫টি অতপর পুনরায় ৫টি থেকে ৬টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করাহয় এবং ১৯৯৯ খ্রীঃ ১৮ টি  ওয়ার্ড নিয়েটাঙ্গাইল পৌরসভা পুনঃগঠিত হয়।

 

     পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর ১৮৮৭ খ্রীঃ নভেম্বর মাসে প্রথম নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৪টি ওয়ার্ডে ৮জন জনগনের সরাসরি ভোটে কমিশনার নির্বাচিত হন। ৫নং ওয়ার্ডের জন্য ২জন সহ মোট ৭ জনকে কমিশনার হিসাবে সরকার মনোনয়ন প্রদান করেন। একই সাথে বাংলার লেঃ গভর্ণর কোলম্যাল ম্যাকুলে তৎকালীন টাঙ্গাইলের মুহুকমা প্রশাসক শশী শেখর দত্তকে টাঙ্গাইল পৌরসভার পৌরসভার প্রশাসক নিয়োগ করেন। এই পৌরসভায় ছিলনা কোন পাকা রাস্তা ঘাট ছিলানা রাস্তা আলোকিত করার ব্যবস্থা এবং বিশুদ্ধ পানি সরবারাহ ব্যবস্থা। স্থানীয় জমিদারগণের অর্থানুকুল্যে এবং জেলা বোর্ড কর্তৃক স্থাপিত পুকুর, ইন্দারা এবং অবস্থাপন্ন দানশীল ব্যক্তির প্রতিষ্ঠিত কুয়া / ইন্দারার পানির উপর নির্ভির করতে হতো পৌর নাগরিকদের। বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কেরোসিন বাতি (হ্যারিকেন) দ্বারা প্রথম রাস্তা আলোকিত করণের ব্যবস্থা করে পৌরসভা।

     বিভিন্ন জনবহুল স্থান স্থাপন করে হস্তচালিত নলকুপ। সে সময় শহরের ‍যানবাহন বলতে ছিলো টমটম আর গরুরগাড়ী। চাড়াবাড়ী থেকে জলপথে কলিকাতা এবং ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকা যাতায়াত করতে হতো। ক্রমে বিকশিত হতে থাকে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড। ত্রিশ দশকের গোড়ার ‍দিকে বিদ্যুত সরবরাহ শুরু হয়। চল্লিশ দশকে শহরের যানবাহন বিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় রিক্সা।

     পঞ্চাশ এবং ষাট দশকের গোড়ার দিকে বেশ কিছু রাস্তা ঘাট পাকাকরণ সহ তৈরী হয় ব্রীজ, কালভার্ট। এসময় ঢাকার সাথে টাঙ্গাইলের সড়ক যোগাযোগ শুরু হয়। ষাট এর দশকেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ শুরু হয় পানীয় পলের।

     এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৫ খ্রীঃ টাঙ্গাইল পৌরসভা ‘গ’ থেকে ‘খ’ এবং ১৯৮৯ খ্রীঃ ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নতি লাভ করে। ৯০ দশকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সাকারের অর্থায়নে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প এবং মাঝারী শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কিছু রাস্তা, ড্রেন, ব্রীজ/কালভার্ট, মার্কেট, বাসটার্মিনাল সহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পানি সরবরাহ উন্নয়ন সাধিত হয়। নতুন শতাব্দিতে বর্তমান পরিষদ কর্তৃক কিছু ব্যতিক্রমী কর্মকান্ড গৃহীত হয় যা শহরের যানজট নিরসন, মশক নিধন উত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সমর্থ হয়েছে।

     আগামী ১ জুলাই ২০১২ তারিখে পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকাল ১২৫ বছর পূর্তি হবে। টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্তমান আয়তন =২৯.৪৩ বর্গ কিলোমিটার, প্রস্তাবিত আয়তন =৫.০০ বর্গ মাইল বা ১২.৯৬ কিলোমিটার, ২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা, পুরুষ=৬৬,৮৫৬ জন, মহিলা=৬১৯২৯ জন, সর্বমোট=১,২৮,৭৮৫ জন, শিক্ষার হর =৫৩.৮০%, মোট ভোচার সংখ্যা =৯৪,৬৪৪ জন, পুরুষ ভোটার সংখ্যা=৪৬,১৩০ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা=৪৮,৫১৪ জন, মহল্লা =৬৩টি, মেয়র ১ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলব=১৮ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর=৬ জন, ওয়ার্ড সংখ্যা =১৮টি, সাংগঠনিক কাঠারো অনুযায়ী অনুমোদিত জনবল -১৫৭ জন, বর্তমানে বিদ্রমান আছে =৮৫ জন। হোল্ডিং সংখ্যা, ২১,১১৫ টি।

এই পাতাটি ডাউলোড করুন: (Word File)

ফটো গ্যালারি